আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং মার্কেটপ্লেসের বাইরে ক্লায়েন্ট হান্টিং করতে চান , সেক্ষেত্রে লিংকডইন হতে পারে আপনার জন্য পারফেক্ট অপশন। কেন জানেন? চলুন আজকের এই লেখা থেকে জেনে নেয়া যাক লিংকডইন ইউজ করার বেনিফিটস গুলো সম্পর্কে।

১। যদি আপনারা লিংকডইনে সঠিকভাবে প্রোফাইল সাজান, পোর্টফোলিও অ্যাড করেন, নিজের নিশের পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টদের সাথে কানেক্টেড হন এবং অ্যাকটিভ থেকে রেগুলারলি পোস্ট করেন, তাহলে খুব তাড়াতাড়িই ক্লায়েন্ট পাওয়া যায়। লিংকডইনে ছোটখাটো ফ্রিল্যান্স প্রজেক্টে কাজ করার অপোরচুনিটি তো রয়েছেই, তার পাশাপাশি অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা লিংকডইন থেকে লং-টার্ম ক্লায়েন্ট জেনারেট করতে পেরেছেন। আমি নিজেই লিংকডইন থেকে এমন অনেক ক্লায়েন্ট পেয়েছি যাদের সাথে দীর্ঘদিন কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। আবার ফ্রিল্যান্স প্রজেক্ট ছাড়াও যদি রিমোট জব করতে চান, তাহলেও লিংকডইনে কাজের অনেক সুযোগ খুঁজে পাবেন। তাই আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং লিংকডইনে যদি আপনার এখনো প্রোফাইল না থাকে, তাহলে আজই প্রোফাইল ক্রিয়েট করুন।

২। লিংকডইন এমন একটা প্রফেশনাল প্ল্যাটফর্ম, যেটা জব সিকারদের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সারদের ক্লায়েন্ট খুঁজে পাওয়ার জন্যও সমানভাবে ইফেকটিভ। বর্তমানে এই প্ল্যাটফর্মের মান্থলি অ্যাকটিভ ইউজারের সংখ্যা ৩১০ মিলিয়নেরও বেশি। বেশিরভাগই মনে করেন লিংকডইন কেবলমাত্র অফিস জব খোঁজার জন্য ইউজ করা হয় এবং এখানে শুধুমাত্র বিভিন্ন কোম্পানির এমপ্লয়ীরাই থাকেন। কিন্তু সত্যিটা হলো লিংকডইনে আপনারা ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতিটা সেক্টরের পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টদের খুঁজে পাবেন। শুধু তাই নয়, বর্তমান সময়ে ছোট-বড় কোম্পানীগুলোও কিন্তু বিভিন্ন কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করে থাকে। তাই আপনি একজন কন্টেন্ট রাইটার হন কিংবা ওয়েব ডেভেলপার, সঠিকভাবে লিংকডইন ইউজ করতে পারলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে সেক্টরেই কাজ করুননা কেন, ক্লায়েন্টের অভাব কখনোই ফেইস করবেননা।

৩। ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে দ্রুত ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে পোর্টফোলিও একটা গুরুত্বপূর্ণ রোল প্লে করে। তবে অনেকেরই পোর্টফোলিও সাইট বানানোর বাজেট থাকেনা। আপনারা চাইলে কিন্তু আপনার লিংকডইন প্রোফাইলকেই পোর্টফোলিওতে কনভার্ট করতে পারেন।

কিভাবে? লিংকডইনের অ্যাবাউট সেকশনে আপনারা নিজেদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গোল, কতদিন ধরে কাজ করছেন এবং কোন ক্যাটাগরির সার্ভিস প্রোভাইড করছেন সেটা ডিটেইলে লিখতে পারেন। এর পাশাপাশি নিজেদের স্কিল, ট্রেনিংয়ের সার্টিফিকেট কিংবা অন্যান্য অ্যাচিভমেন্ট বা অ্যাওয়ার্ডের ইনফরমেশন সেপারেটলি সাজাতে পারেন। আবার একইসাথে ফিচারড অপশনে আপনারা নিজেদের বেস্ট কাজগুলো শো-কেইস করতে পারেন। আশা করি আপনারা বুঝতে পারছেন যদি নিজেদের লিংকডইন প্রোফাইল সঠিকভাবে অরগানাইজ করতে পারেন, তাহলে সেটাই আপনার পোর্টফলিও হিসেবে কাজে লাগবে।

৪। মার্কেটপ্লেসের বাইরে ক্লায়েন্ট খুঁজতে গেলে ফ্রিল্যান্সারদের বেশ ভালো কম্পিটিশনের সম্মুখীন হতে হয়। এই এত কম্পিটিশনের মাঝে ক্লায়েন্টদের নিজের কাছ থেকে সার্ভিস নিতে ইনফ্লুয়েন্স করার জন্য একটা অ্যাকটিভ লিংকডইন প্রোফাইল অনেক কাজে আসে। সত্যি বলতে লিংকডইন প্রোফাইল একজন ফ্রিল্যান্সারকে আরো প্রফেশনাল ও সিনসিয়ার ক্যান্ডিডেইট হিসেবে প্রেজেন্ট করে।

সেই সাথে পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টরা আপনার প্রোফাইলে গেলে আপনার ব্যাপারে যতটুকু ইনফরমেশন প্রয়োজন, যেমন: আপনার স্কিল,এক্সপেরিয়েন্স,সার্টিফিকেশন, রেকমেন্ডেশন বা কাজের স্যাম্পল ইত্যাদি অল্প সময়ের মধ্যে একটা প্ল্যাটফর্মেই পেয়ে যান। তখন আপনার প্রোভাইড করা সার্ভিসের কোয়ালিটি ও অথেন্টিসিটি নিয়ে কাদের মনে আর কোনো সন্দেহ থাকেনা। এতে করে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই এই কম্পিটিশনের যুগে অন্য ফ্রিল্যান্সারদের চাইতে নিজেকে যদি এগিয়ে রাখতে চান , তাহলে অবশ্যই লিংডকিনে প্রোফাইল ক্রিয়েট করুন এবং সেখানে অ্যাকটিভ থাকুন।

৫। ফ্রিল্যান্সিং ফিল্ডে স্টেবল ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে চাইলে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনারা ফ্রিল্যান্সিং বিজনেসের শুরুর দিকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাদের যেমন বেশকিছু টাকা খরচ হবে, তেমনিভাবে ওয়েবসাইট মেইনটেইনও করতে হবে, যেটা নিঃসন্দেহে বেশ সময় সাপেক্ষ।

আপনারা চাইলে ওয়েবসাইট ছাড়াই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করতে পারেন। কিভাবে জানেন? লিংকডইনে অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে। এটা একমাত্র প্রফেশনাল প্লাটফর্ম যেখানে আপনারা কোনোরকম সাবস্ক্রিপশন ফী ছাড়াই নিজেদের ফ্রিল্যান্সিং বিজনেস প্রমোট করতে পারবেন। আপনারা যদি আপনাদের লিংকডইন অ্যাকাউন্টে নিজেদের নিশ ও সার্ভিস সম্পর্কে রেগুলারলি কোয়ালিটি কন্টেন্ট পোস্ট করতে থাকেন, নিজেদের বিভিন্ন অ্যাচিভমেন্ট, ক্লায়েন্টদের পজিটিভ রিভিউ ইত্যাদি শেয়ার করতে থাকেন, তাহলে কিন্তু পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংয়ের কাজটা অটোমেটিকালিই হয়ে যাবে। তাই লিংকডইন ইউজ করবেন নাকি ফিউচারে সাফার করবেন, সেই ডিসিশন পুরোপুরি আপনার।

৬। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন বর্তমানে ক্লায়েন্ট সেজে অনেকেই ফ্রিল্যান্সারদের স্ক্যাম করছে। আসলে বেশিরভাগ প্ল্যাটফর্মেই ফ্রিল্যান্সারদের কাছে পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টের ইনফরমেশন আগে থেকে জানার কোন সুযোগ থাকে না। এ সুযোগেই একদল অসাধু মানুষ ফেক প্রোফাইল ক্রিয়েট করে স্ক্যামিং করে।

তবে লিংকডইনে ক্লায়েন্ট হান্টিং করলে এই ধরণের স্ক্যামের স্বীকার হওয়ার পসিবিলিটি অনেকটাই কম। কারণ এখানে পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টদের প্রোফাইল দেখে তারপর তাদের সাথে কানেক্টেড হওয়ার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ আপনি কারো লিংকডইন প্রোফাইলের অ্যাকটিভিটি দেখেই আইডিয়া করতে পারবেন তিনি রিয়েল নাকি ফেক ক্লায়েন্ট। এ কারণে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য মার্কেটপ্লেসের বাইরের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে লিংকডইন অনেকটাই সিকিউরড।

৭। মার্কেটপ্লেসের বাইরে ক্লায়েন্ট জেনারেট করার জন্য লিংকডইন বিগত বেশ কয়েকবছর ধরেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। আমি নিজেই লিংকডইন ব্যবহার করে অসংখ্য হাই-পেয়িং ক্লায়েন্ট জেনারেট করতে পেরেছি। আমার মতে লিংকডইন ব্যবহার করে ক্লায়েন্ট হান্টিং করার অন্যতম সুবিধা হচ্ছে যেহেতু এটা একটা প্রফেশনাল প্ল্যাটফর্ম, তাই যদি আপনি প্রোপারলি পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টদেরকে রিচ করেন, তাহলে আপনি মোটামুটি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে তাদের কাছ থেকে আপনি রিপ্লাই পাবেন।

এই রিপ্লাই যে সব সময় পজিটিভ হবে এমন নয়, তবে আপনার মেসেজের টোন ও ইন্টেনশন সঠিক থাকলে যদি কোনো ক্লায়েন্ট আপনার কাছ থেকে সার্ভিস নিতে ইন্টারেস্টেড নাও হন, সেটাও তিনি আপনাকে জানিয়ে দেবেন। আর সাধারণত লিংকডইনে কাউকে ইনবক্সে টেক্সট পাঠালে সেটার রিপ্লাই আসতেও খুব বেশি টাইম লাগেনা। তাই কেউ আপনার মেসেজ পড়ে সার্ভিস নিতে ইন্টারেস্টেড কিনা, সেটা খুব দ্রুত ফাইন্ড আউট করা যায়।

৮। ফ্রিল্যান্সারদের ক্লায়েন্ট জেনারেট করার জন্য লিংকডইন ব্যবহার করার অন্যতম সুবিধা কী জানেন? লিংকডইনে কিছু টেকনিক ফলো করে পোস্ট করলে পোস্টে অনেক ভালো রিচ পাওয়া যায়, যেটা অন্য কোন প্ল্যাটফর্মে পাওয়া পসিবল হয়না। এখন প্রশ্ন হলো, সঠিকভাবে লিংকডইনে পোস্ট করার নিয়ম কী? খুবই সহজ! লিংকডইনে যদি আপনারা পোস্টে একটা মেইন কি-ওয়ার্ড ও কি-ওয়ার্ড রিলেটেড ৫-৬ টা হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন, তাহলে দেখতে পাবেন আপনার পোষ্ট খুব দ্রুতই পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টদের রিচ করবে। সেখান থেকে আপনার নতুন নতুন ফ্রিল্যান্স প্রজেক্টে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই রেগুলারলি পোস্ট করার চেষ্টা করবেন। যদি খুব বেশি কাজের চাপও থাকে, তাহলেও প্রতিদিন অন্তত একটা ভ্যালুয়েবল কন্টেন্ট পোস্ট করুন। কারণ যত বেশি পোস্ট করবেন, আপনার পোষ্টের রিচ তত বেশি হবে।

৯। লিংকডইন ব্যবহার করে ক্লায়েন্ট হান্টিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন সেক্টরের ফ্রিল্যান্সার ও প্রফেশনালদের সাথে নেটওয়ার্কিংয়ের যে দারুণ অপোরচুনিটি পাওয়া যায়, আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি সেটা আপনি আর অন্য কোন প্ল্যাটফর্মে পাবেন না। এই নেটওয়ার্কিংয়ের সবচাইতে বড় অ্যাডভান্টেজ হচ্ছে আপনি নতুন অনেক কিছু শিখতে পারবেন, যেগুলো আপনার ফ্রিল্যান্সিং বিজনেস গ্রো করতে ইফেকটিভলি হেল্প করবে।

যেমন ধরুন, আপনি কোনো ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্টের কাছ থেকে নতুন কোন মার্কেটিং হ্যাক শিখতে পারবেন, কোনো কনটেন্ট রাইটারের কাছ থেকে আরো অ্যাট্রাকটিভ ওয়েতে নিজের সার্ভিস সম্পর্কে লেখা শিখতে পারবেন, আবার হয়তো কোনো এক্সপেরিয়েন্সড ফ্রিল্যান্সারের কাজ থেকে কিভাবে নিজের এজেন্সি ডেভেলপ করতে হয় সেটা শিখবেন। এই ভ্যালুয়েবল নলেজগুলো আপনি কিন্তু কোনো বই পড়ে কিংবা ভিডিও দেখে শিখতে পারবেন না। তাই সময় থাকতে লিংকডইন ইউজ করুন।

১০। লিংকডইনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং বিজনেসের জন্য ক্লায়েন্ট হান্টিংয়ের অন্যতম অ্যাডভান্টেজ হচ্ছে আপনি যদি আপনার কানেকশনের মানুষদের সাথে প্রোপার এনগেজমেন্ট মেইনটেইন করতে পারেন, তাহলে সেখান থেকেও ক্লায়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যেমন ধরুন, আপনি নিজের নিশ রিলেটেড কোনো হেল্পফুল কন্টেন্ট পোস্ট করলেন। তারপর সেই পোস্টের কমেন্টে একজন এসে একটা কোশ্চেন করলেন।

এখন আপনি যদি ঐ কোশ্চেনের অ্যানসার ডিটেইলে গুছিয়ে লিখে ওই কমেন্টের রিপ্লাই দেন, তাহলে যিনি কোশ্চেন করেছেন তিনি বুঝতে পারবেন আপনি একজন এনাফ স্কিলড মানুষ। এরপর তার কখনো যদি আপনার নিশ রিলেটেড কোনো সার্ভিস প্রয়োজন হয়, তাহলে কিন্ত তিনি আপনাকেই সবার আগে নক করবেন। লিংকডইনের মজাটা এখানেই, আপনার কানেকশনের সাথে আপনার এনগেজমেন্ট যত বেশি, আপনার ক্লায়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বেশি।

১১। লিংকডইন ইউজ করলে ফ্রিল্যান্সারদের নেটওয়ার্কিং বাড়ে এবং নতুন অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয় সেটা তো সবাই জানেন। তবে লিংকইনের অ্যাডভান্টেজ কিন্তু এখানেই শেষ নয়। যদি প্রোপারলি লিংকডইনে অন্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে নেটওয়ার্কিং করতে পারেন, তাহলে দেখতে পাবেন হয়তো তারাই অন্যদের কোনো প্রয়োজনে আপনাকে রেফার করে দেবেন।

অর্থাৎ আপনারা যদি ক্লায়েন্ট খোঁজার জন্য লিংকডইনের সহায়তা নেন, তাহলে যেমন বিজনেস আরো ডেভেলপ করার জন্য অনেক কিছু শিখতে পারবেন, তেমনি ভাবে নতুন ক্লায়েন্টদের সাথে কাজ করার সুযোগও তৈরি হবে। তাই যদি আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন এবং মার্কেটপ্লেসের বাইরে ক্লায়েন্ট জেনারেট করতে চান, তাহলে অবশ্যই লিংকডইনে একটা অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করুন।

১২। ফ্রিল্যান্সাররা যদি মার্কেটপ্লেসের বাইরে লং-টার্ম ক্লায়েন্ট জেনারেট করতে চান, তাহলে চোখ বন্ধ করে লিংকডইনের হেল্প নিতে পারেন। লিংকডইন ইউজ করার তো অনেকগুলো অ্যাডভান্টেজ রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সহজে কম্পিটিটর রিসার্চ করার অপোরচুনিটি। আপনি যদি আপনার নিজের ফ্রিল্যান্সিং বিজনেসের মার্কেটিং করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন হবে একটা প্রোপার কনটেন্ট প্ল্যানিং। এ কনটেন্ট প্ল্যানিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই যারা আপনার ইন্ডাস্ট্রিতে ক্লায়েন্টদেরকে সার্ভিস অফার করছে, তাদের পোস্ট করা কনটেন্টগুলোর প্যাটার্ন কিরকম হয়, তা জানতে হবে। আপনি চাইলে লিংকডইন ব্যবহার করেই কম্পিটিটর রিসার্চের কাজটা করে ফেলতে পারেন।

আপনি যদি লিংকডইনের সার্চ বারে সার্চ করেন, তাহলেই যারা আপনার নিশে সার্ভিস অফার করছে,  তাদের বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট দেখতে পাবেন। এতে করে আপনি যখন নিজের ফ্রিল্যান্সিং বিজনেসের জন্য কন্টেন্ট প্ল্যানিং করবেন, তখন আপনার কাজে অনেক সুবিধা হবে। শুধু তাই নয়, আপনি যদি তাদের লিংকডইনের প্রোফাইল ভিজিট করেন তাহলে তাদের অ্যাকটিভিটি সম্পর্কেও ক্লিয়ারলি আইডিয়া পেয়ে যাবেন। আশা করি বুঝতে পারছেন, লিংকডইন ইউজ করে ফ্রিল্যান্সাররা কতভাবে বেনিফিটেড হতে পারেন।

১৩। নিজের ফ্রিল্যান্সিং বিজনেসকে একটা সাকসেসফুল ব্র্যান্ডে কনভার্ট করতে চাইলে লিংকডইনে একটা কোম্পানি প্রোফাইল বা বিজনেস পেইজ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।কেন জানেন? যদি আপনার লিংকডইনে কোম্পানি প্রোফাইল থাকে এবং আপনি সেখানে রেগুলারলি বিভিন্ন ভ্যালুয়েবল কনটেন্ট শেয়ার করতে থাকেন, তাহলে খুব দ্রুতই আপনার প্রোফাইল গুগলে এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করবে। এতে করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং বিজনেসের রেপুটেশন যেমন বাড়বে, তেমনিভাবে আগের চাইতে অনেক বেশি প্রোফাইল ভিজিটর পেতে সক্ষম হবেন, যা সেল বাড়িয়ে আপনার বিজনেসকে ব্র্যান্ডে কনভার্ট করতে হেল্প করবে। তাই যদি পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টদেরকে অ্যাট্রাক্ট করতে চান, তাহলে লিংকডইন ইউজ করতে ভুলবেন না।

১৪। পটেনশিয়াল ক্লায়েন্টদের সামনে নিজের ক্রেডিবিলিটি বাড়িয়ে তোলার জন্য লিংকডইনের মতো পাওয়ারফুল প্ল্যাটফর্ম আর একটাও নেই। কেন জানেন? লিংকডইনে আপনারা চাইলেই আপনাদের প্রিভিয়াস ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে রেকমেন্ডেশন নিতে পারবেন। লিংকডইনে আপনি যত রেকোমেন্ডেশন পাবেন, সেগুলো আপনার প্রোফাইলে সবসময় শো করবে, যা নিঃসন্দেহে আপনার ক্রেডিবিলিটি বাড়িয়ে তুলবে। এছাড়াও লিংকডইনে স্কিল এনডোর্সমেন্ট নামক একটা অপশন আছে। আপনি কোনো স্কিলে যত বেশি মানুষের কাছ থেকে এনডোর্সমেন্ট পাবেন, তা ওই স্কিলে আপনার দক্ষতা তত স্ট্রংলি সবার কাছে প্রুভ করবে। ফলে যখন কোন পটেনশিয়াল ক্লায়েন্ট আপনার প্রোফাইল ভিজিট করবেন, তখন তিনি আপনার সার্ভিসের কোয়ালিটি যে আপ টু দ্যা মার্ক সে ব্যাপারে শিওর হয়ে যাবেন, অর্থাৎ আপনি তার সামনে একটা পজিটিভ ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করতে পারবেন। এর ফলে দেখা যাবে তিনি আপনার কাছ থেকেই সার্ভিস নিতে আসবেন।

১৫। লিংকডইনই একমাত্র প্ল্যাটফর্ম যেখানে কমপ্লিট প্রোফাইল থাকলে, কোয়ালিটি কন্টেন্ট শেয়ার করলে এবং এনগেইজমেন্ট মেইনটেইন করলে নিশ্চিতভাবে ক্লায়েন্ট জেনারেট করা পসিবল হয়। আপনারা হয়তো জেনে অবাক হবেন, লিংকডইনে আপনার প্রোফাইল দেখে যদি কোন ক্লায়েন্টের স্যাটিসফ্যাক্টরি মনে হয়, তাহলে তিনি নিজেই আপনাকে তার কোনো প্রজেক্টে কাজ করার জন্য নক করবেন। এক্ষেত্রে যদি প্রোপারলি নেগোশিয়েট করতে পারেন, তাহলে ওই ক্লায়েন্টকে লং-টার্ম ক্লায়েন্টে কনভার্ট করে ফেলতে পারবেন। ক্লায়েন্ট পাওয়ার এত দারুণ সুযোগ লিংকডইন ছাড়া আপনারা আর কোথাও পাবেন না, এটুকু আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।

পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন: